বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপন্ন। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই বারবার সাবান মেখে গোসল করেন। এতে ঘাম, ধুলো-ময়লা যেমন ধুয়ে যায়, তেমনই শরীরে তরতাজা ভাবও আসে। তবে বার বার ক্ষার-যুক্ত সাবান মেখে নিজের অজান্তেই ত্বকের ক্ষতি করছেন নাতো? দিনে কত বার গোসল করবেন বা করবেন না তা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে প্রতি বার গায়ে ক্ষার-যুক্ত সাবান মাখার প্রয়োজন নেই। গোসল করার পর তরতাজা লাগলেও আদতে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে ঘন ঘন সাবান ব্যবহারের ফলে। গায়ে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
এবিষয়ে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সাবান মাখা যেতে পারে। রোজ সাবান মাখতে হলে এমন সাবান বেছে নিতে হবে, যেগুলোর মধ্যে ক্ষারজাতীয় কোনো রাসায়নিক নেই। সেক্ষেত্রে গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড কিংবা ইউরিয়া দেওয়া তরল সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।গরমকালেও ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম মাখতে হবে। বিশেষ করে শরীরের খসখসে বা অতিরিক্ত শুষ্ক অংশগুলোতে। যেমন- পিঠ, ঘাড়, কনুই, নিতম্ব, হাঁটু, গোড়ালি এবং দুই পায়ে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। শুধু ‘মাইল্ড’ কোনও বডিওয়াশ দিয়ে স্নান সেরে নিলেই ত্বকের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া যায় না।
বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজারও ত্বকের ধরন বুঝে কিনতে হয়। গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড কিংবা ইউরিয়া এবং শিয়া বাটার- যার যেটি প্রয়োজন সেই বুঝে ময়েশ্চারাইজার কিনতে পারেন। গরমে বারবার গোসলের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন- যতই গরম পড়ুক, অনেকক্ষণ পানির তলায় থাকা যাবে না। খুব বেশি হলে ১০ মিনিট আপনি শাওয়ারের নিচে থাকতে পারেন। রোদ থেকে ফিরে গোসল করা ঠিক নয়, কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে গোসল করা উচিত।